শনিবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
এই বৈঠকে সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে জুনাইদ আহমেদ পলক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন সে পরিমাণ বিনিয়োগ আমরা করব।
"ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা কোন ডিভাইস ব্যবহার করে কত ঘণ্টা আগে এ অপরাধমূলক কাজটা করেছে তা ধরা সহজ হবে।”
সাইবার সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে সচেতন ও প্রগতিমনা মানুষদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হটলাইন ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ ব্যবহার করতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে একটি গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষক ও গবেষক নোভা আহমেদ।
তিনি জানান, ইন্টারনেটে মেয়েদের ছবি আপলোড করে সেখানে দাম লিখে দেওয়া হয়। অথচ যার ছবি দেওয়া হলো সে কিছুই জানেনা। এর ফলে তাদের সম্মান নষ্ট হয়। আবার এমনও হয়, কোন মেয়ের ছবি দিয়ে কেউ ফেইসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। পরিচিতরা মেয়েটিকে ভেবে তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এরপর দেখা গেল ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচিতদের খারাপ কিছু বলা হচ্ছে।
“সমস্যা হল কেউ এই বিষয়ে কথা বলতে চায় না। কার কাছে কোথায় কিভাবে অভিযোগ করবে তা জানে না।”
বিটিআরসি সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী ইন্টারনেট নিরাপত্তায় সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ইন্টারনেটকে যারা খারাপ কাজে ব্যবহার করে তারা অনেক দক্ষ, তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। দেশের ভেতরে এ ধরনের অপরাধীকে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। তবে দেশের বাইরে যখন হয় তখন তা শনাক্ত করা কঠিন।
“তবে শীঘ্রই এমন ব্যবস্থা করা হবে যেন সব অপরাধীকেই চিহ্নিত করা যায়।"
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, “ফেসবুক বা ইমেইলে যারা হুমকি দেয় বা মিথ্যা ‘প্রপাগান্ডা’ চালায় তাদের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে।
এধরনের কোন তথ্য পেলে র্যাব বা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে।"
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, সাইবার অপরাধ দমনে সমন্বিতভাবে কাজ করতে চান। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসাথে কাজ করলে অপরাধ দমন করা সম্ভব।
“সমস্যা সমাধানের জন্য অতি দ্রুত আইএসএস বা ইন্টারনেট সেফটি সলিউশান কার্যক্রম আনার ব্যবস্থা নিয়েছি।
"এর মাধ্যমে অপরাধীদের খুঁজে বের করা যাবে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এখন প্রয়োজন সামাজিকভাবে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।”
সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের বিভাগীয় প্রধান (যোগাযোগ, প্রচার ও প্রচারণা) সীমা ইসলাম।
অনুষ্ঠানে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক হাবিবুল্লাহ ডন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেরর ২০ জন শিশু সাংবাদিক ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি একাত্তর টেলিভিশন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হয়।