আবহাওয়া উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার দুপুরে নানান বয়সী মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গেল নওগাঁর আতর, টুপি, জুতা, স্যান্ডেল, গয়না আর কসমেটিকসের দোকানগুলোতে।
রাস্তার পাশেই গজিয়ে উঠেছে অস্থায়ী কিছু আতর আর টুপির দোকান। এরকম অস্থায়ী এক দোকানে পছন্দের টুপি বেছে নিতে এসেছেন মুহিত মুজতবা আলম।
মুহিত জানালেন, বছরে একবারই টুপি কেনা হয় তার। ঈদের পাঞ্জাবির রঙয়ের সাথে মিলিয়েই তা কিনে থাকেন তিনি।
তবে ওই দোকানের বিক্রেতা গোলাম রব্বানী জানালেন, এবছর টুপির চেয়ে আতরের বিক্রি তুলনামূলকভাবে বেশি।
দাদা চন্দন, মজলিস, আলিম জহুরা, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ বাহারী নামের সব আতর বিক্রি হচ্ছে আতরের দোকানগুলোতে।
অন্যদিকে মেয়েরা ভিড় জমাচ্ছেন শহরের গয়না আর কসমেটিকসের দোকানগুলোতে।
পাথরের চুড়ি ও কানের দুল বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বলে জানালেন অপুর্ব স্টোরের বিক্রয়কর্মী সুমন।
ঈদের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ক্রেতাদের কাছে পাথরের গয়নাকে তুলে ধরছেন তারা।
পণ্যের দামের ব্যাপারে ক্রেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে রেহানা বেগম জানালেন, দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। গয়না ছাড়াও হাত-ব্যাগ, পারফিউম, মেহেদী এসব কেনার প্রতিও মেয়েদের আগ্রহ চোখে পড়ার মত।
শহরের জুতা-স্যান্ডেলের দোকানগুলোতে রয়েছে ছেলেমেয়ে দুদলেরই উপচে পড়া ভিড়।
বর্ষাকালে ঈদ হওয়াতে কিছুটা উঁচু হিলের স্যান্ডেল বেছে নিচ্ছেন মেয়েরা। অন্যদিকে বরাবরের মতই ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে চটি স্যান্ডেল।