হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা।
হাসপাতালের আনসার কমান্ডার জাকারিয়া হোসেন জানান, অনুমানিক চার বছর বয়সী মেয়েটির পরনে ছিল ফ্রক ও হাফপ্যান্ট।
“মেয়েটি তার নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছে না।”
তবে তার কাছে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। সেই চিঠিতে দাবি করা হয় কোন একজন গরিব নারী শিশুটিকে লালনপালন করতেন।
তিনি শিশুটিকে এই হাসপাতাল এলাকা থেকেই কুড়িয়ে পেয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন চিঠিতে।
এখন আর্থিক সংকটে পড়ায় এখন আর শিশুটিকে পালতে পারছেন না।
তার নিজের আরও তিনটি ছেলেমেয়ে আছে। তাদের খাওয়াপরা চালাতেই তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। তার স্বামীও নাই তাই এই শিশুটিকে ফেলে রেখে যাচ্ছেন।
চিঠির শেষে তিনি জোর দিয়ে লেখেন যে, তিনি খুব গরিব মানুষ তাই তিনি শিশুটিকে ফেলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতাল পুলিশের ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক চঞ্চল জানান, কোনো পরিচয় বা অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়ায় নগরীর শাহ্ মখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে শিশুটিকে রাখা হয়েছে।