নিজেদের অল্প পূঁজি দিয়েই তারা আয়োজন করতে যাচ্ছেন এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার। উদ্দেশ্য দেশের বাঙলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পালন করা।
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা পহেলা বৈশাখ। যেন দম ফেলারও সময় নেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীদের।চারুকলার গোটা বিভাগ জুড়েই এখন সাজ সাজ রব।
চারুকলা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন জানান, এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশের পাশাপাশি থাকছে নিজেরদের তৈরি ঘোড়া, লক্ষ্মীপেঁচা, পালকি ও দোয়েল পাখি। গ্রাম-বাংলার চিরন্তন নানা ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিলকিস বেগম, আহবায়ক, নববর্ষ উদযাপন কমিটি, জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছে চারুকলা বিভাগ।
এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালাও। মঙ্গলবার সকালে দুই দিনব্যাপি এই বর্ষবরণ উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরই দেশের সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। বাঙালি সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি মনের অন্ধকারকে দূর করাই এর লক্ষ্য।