আমাদের স্কুলের অবস্থাও সেরকমই। সপ্তাহে পাঁচদিনই স্কুল বন্ধ থাকে। শনিবারে স্কুল খোলা থাকলেও সহিংসতার আতঙ্কে উপস্থিতিও কম থাকে। পুরো সপ্তাহের পড়া একদিনে পড়াতে হয় বলে শিক্ষার্থীদের মত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। প্রায় দেড় মাসে ক্লাস হয়েছে মাত্র পাঁচদিন।
হরতালের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপাকে। পরীক্ষা হচ্ছে শুক্রবার আর শনিবার। ফলে যে স্কুলগুলো এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সে স্কুলগুলোতে ক্লাসই শুরু হয়নি।
হরতালের কারণে সিলেবাসও সম্পূর্ন ছাপান হয়নি। তাই বিপাকে পড়েছে হাজারও ছাত্র-ছাত্রী। পাঠ্যসূচি নির্ধারণ না হওয়ায় শিক্ষকদেরও সমস্যা হচ্ছে। হরতালে শিক্ষাঙ্গনের ক্ষতির ব্যাপারে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষিকা রিপা আক্তার হ্যালোকে জানান, “এই ছাত্র-ছাত্রীরাই একদিন দেশের ভার কাঁধে নিবে। কিন্তু তাদের শুরুটাই ভালো হচ্ছে না । কোমলমতি শিশুরা স্কুলেই আসতে পারছে না”।
এক শিক্ষার্থী বলে, “সিলেবাস না দেয়ায় আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে পড়ালেখা করতে পারছি না”।
পরীক্ষা হবে সঠিক সময়েই। কিন্তু পরীক্ষার আগে যদি কোন প্রস্তুতি না নেওয়া যায় অথবা পরীক্ষার পাঠ্যসূচি না জানা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা যে সমস্যার সম্মুখীন হবে তা বলা অবধারিত।