সারাদিনে আয় ৭০ টাকা

দেশের অনেক জায়গার মতো ভোলাতেও বেড়ে চলছে শিশু শ্রমজীবীর সংখ্যা। ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটের কুলিদের বেশিরভাগই শিশু।

লঞ্চ ঘাটে কোন লঞ্চ এসে ভিড়লেই শুরু হয়ে যায় ওদের ব্যস্ততা। দৌড়ে কে আগে ব্যাগ নিতে পারবে এমন প্রতিযোগীতাই চলে নিজেদের মধ্যে।

এদের এক জনের নাম রানা। এখানে কাজ করো কেন জানতে চাইলে বলে,"বাপে সংসার চালাইতে টাকা দেয় না, ঘরে অভাব। হারা দিনের কামাই দিয়াই বাড়িতে চাউল কিনা লাগে।"

সারাদিন কাজ করে কত টাকা পায় জানতে চাইলে জানায়, ৩০-৭০ টাকা পায়।

১৩ বছর বয়সী ফারুক উত্তর ভেদুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অভাবের সংসারের হাল ধরতেই সে স্কুল ছুটির পড়া কুলির কাজ করতে আসে।

সরেজমিনে দেখি, এখানে কুলির কাজ করছে এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩০। এদের অনেকেই অভাবে কাজ করতে গিয়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আকাশ নামের আট বছরের এক শিশু জানায়, ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঘাটে কুলির কাজ করে। দিনে ২০ টাকা থেকে ৭০ টাকা আয় হয়।

কাজ করতে কেমন লাগে জানতে চাইলে বলে, অনেকেই ওদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। কেউ টাকা কম দেয় তারপরও কাজ করতেই হবে।

এ ব্যাপারে জাতীয় শিশু সংগঠন এনসিটিএফ এর ভোলা জেলার ভলেন্টিয়ার আদিল হোসেন তপু জানায়, তাদের সংগঠনটি এসব শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। এদের স্কুলমুখী করতেও চেষ্টা করছে। তবে এতে সরকারের সহযোগিতা দরকার।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। তবে অনেক শিশুই অভাবে কাজ করে।

এদের জন্য ভেদুরিয়া এলাকায় একটি স্কুল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com