নীলফামারী সদরের সোনারার সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে দিনমজুর আব্দুল হান্নান।
Published : 17 May 2014, 02:46 PM
শনিবার দুপুরে ফল হাতে পাওয়ার পর সে কেঁদে বলে," বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন।
"আর মা পাগল না হলে বুকে টেনে নিয়ে আদর করতেন, গ্রামের মানুষদের মিষ্টি খাওয়াতেন।"
সে পঞ্চম শ্রেণিতে সাধারণ গ্রেডে ও অষ্টম শ্রেণিতে (জেএসসি) ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
সে জানায়, তার ভাল ফলাফলের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদান অনেক। ভালো ছাত্র হওয়ায় তাকে শিক্ষকরা বিনে পয়সায় প্রাইভেট পড়িয়েছেন এমনকি বিদ্যালয়ের বেতনও দিতে হতোনা তার।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার রায় বলেন," ছেলেটি গরিব ও মেধাবী। আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতোদিন তাকে সাহায্য করেছি। এখন আর একটু সহায়তা পেলে সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।"
মা-বাবা হারা হান্নান ও তার বড় ভাই চাচাত বোন শাবানার কাছে থাকলেও নিজেদের খরচ চালাতে তাদের কাজ করতে হয় ক্ষেত-খামারে আবার কখনও হোটেলে। বড় ভাই আবু রায়হান একই বিদ্যালয় থেকে এবার এস এসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এভাবে কাজ করেও এতো ভালো ফল কীভাবে করলো জানতে চাইলে সে বলে," যখন স্কুল খোলা থাকে তখন স্কুল শেষ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত হোটেল বয়ের কাজ করি। আর যখন বন্ধ থাকে তখন কৃষি শ্রমিক হিসেবে দিনমজুরী করি। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে বই-খাতা, কলম, জামা-কাপড় কেনার পাশাপাশি সংসারের খরচ চালাই।"
মেধাবী হান্নান বড় হয়ে একজন ডাক্তার হতে চায়।