সংবাদে শিশুদের পরিবেশনে সবার আচরণে আরও সংবেদনশীলতা দরকার বলে মত দিয়েছেন সাংবাদিক আইনজীবী ও মনোবিদরা।
Published : 23 Aug 2013, 03:43 PM
এরজন্য গণমাধ্যমের নিজস্ব নীতিমালার ব্যাপারে মত দেন তারা।
শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘সংবাদে ঐশী: পুলিশ ও গণমাধ্যমের আচরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই মতামত উঠে আসে।
গত ১৬ অগাস্ট ঢাকার চামেলীবাগের একটি ভাড়াবাসা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই সন্তান এবং শিশু গৃহকর্মীকে নিয়ে সেখানে থাকতেন তারা।
তাদের মেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাকে, তাদের শিশুগৃহকর্মীসহ তিনজনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এ সময় হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে মেয়েটির বয়স বাড়িয়ে রিমান্ডে নেওয়ার খবর ছাপা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। শিশুর প্রতি পুলিশ ও গণমাধ্যমের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এরপর পুলিশ মেয়েটির বয়স যাচাই করতে ডাক্তারের কাছে পাঠায়।
শুক্রবারের আলোচনায় মনোবিদ ও সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, সাংবাদিক ও শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ আফসান চৌধুরী, সাংসদ বেবী মুওদুদ, আইনজীবী ইউএম হাবিবুন নিসা, মনোবিজ্ঞানী ফরিদা আক্তার, এক্সেল একাডেমীর ভাইস প্রিন্সিপাল সেবা তাসমিন হক, সাংসদ ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি, ইউনিসেফের কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ এ এম শাকিল ফয়জুল্লা এবং হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিক সামিন ইয়াসার প্রিয়ম অংশ নেন।প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ গোলটেবিলে সঞ্চালক ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু।
এমন ঘটনার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিক পরিস্থিতি, পারিবারিক অবস্থাও কতটা দায়ী তা নিয়ে মতামত দেন। গণমাধ্যমের অশুভ প্রতিযোগিতাকে খুনের ঘটনায় মেয়েটিকে নিয়ে রগরগে সংবাদ প্রচার করার কারণ বলেন বক্তারা।
শিশু বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
পুরো আলোচনা শুনতে অডিও ফাইলটি ক্লিক করুন।