উপজেলার আলীপুরা, রণগোপালদী ও খলিসাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে এবং ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে।
যেসব জমিতে এক ফুটের বেশি পানি জমেছে তাতে ফসল পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন অনেক কৃষক। তাদের ধারণা শিষ বের হওয়া গাছেও আর ধান হবে না।
খলিসাখালীর কৃষক শাহ আলম গাজী জানান, তার অধিকাংশ জমিতে ধান শুয়ে পড়েছে। এতে চিটার পরিমাণ বেশি হবে।
টানা বৃষ্টিতে লাউ, শিম ও শসার ডগা ভেঙে যাওয়ায় সবজিতেও প্রচুর ক্ষতি হবে জানান মোসলেম নামের আরেক কৃষক।
এ সম্পর্কে দশমিনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, এ বছর দশমিনা উপজেলায় ১৮ হাজার পাঁচশ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে। তার মধ্যে ২২% অর্থাৎ চার হাজার ৭০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তিনশ ৬৫ হেক্টর জমির সবজির মধ্যে ১৫০ হেক্টর জমির সবজি আংশিক নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।