লেখাপড়ার প্রতি মিন্টুর ছিল অদম্য ঝোঁক। নানা সংকটে কেটেছে স্কুল, কলেজ জীবন। কখনও কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে পারেননি তিনি। সেই মিন্টুই আজ গরিব শিশুদের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন।
মিন্টু মানিকগঞ্জ সদর থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
টাকার অভাবে যাতে কোনো শিশুর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য তিনি গড়ে তুলেছেন 'শিক্ষার আলো পাঠশালা' নামের এক ব্যতিক্রমী পাঠশালা। গিলন্ড, জয়নগর ও শৈলকুড়া গ্রামের অসহায়, গরিব ও অনাথ শিশুদের বিনামূল্যে পড়ালেখা করান তিনি। এমনকি শিক্ষা উপকরণও দেওয়া হয় বিনামূল্যে।
এ বিষয়ে মিন্টুর সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। তিনি বলেন, "প্রায় চার বছর ধরে আমি এই শিশুদের পড়ালেখা করাই।"
"গ্রামের একটি এন জি ও-র অফিস ঘরে শিশুদের পড়াই।"
বর্তমানে মিন্টুর ৬৩ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ৩০ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি মিলিয়ে ৩৩ জন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, "মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট পড়িয়ে যা পাই তা দিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য খাতা কলম কিনি।"
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এখানে এসে বিদ্যালয়ের পড়া তৈরি করে। এতে ফলাফল খুব ভালো হয় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
কথা হয় মিন্টুর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে। তার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বাড়িতে তাকে পড়ানোর কেউ নেই। প্রাইভেট পড়ার মতো আর্থিক সঙ্গতিও নেই। তাই মিন্টুর স্কুলে পাঠান।
এই কাজে কেউ তাকে সাহায্য করেন কিনা জানতে চাইলে মিন্টু হেসে বলেন, "অনেকে আমাকে পাগল বলে।"