ড্রাগন ফলের সম্ভাবনার অঞ্চল রাজশাহী

রাজশাহীতে হচ্ছে ড্রাগন ফলের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।মতিয়া বিল এলাকার চাষি মঞ্জুর হক প্রথমে শখের বশে এ ফলের চাষ করলেও এখন বাণিজ্যিকভিত্তিতে করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

মঞ্জুর জানান, ২০১১ সালে একটি হর্টিকালচার সেন্টারে তিনি ড্রাগন ফল সম্পর্কে ধারণা পান। প্রথম বছরে খুব একটা সফলতা না এলেও দ্বিতীয় বছরে আসে এক লাখ টাকা এবং তৃতীয় বছরে বাগানে ফল দেখে আশা করছেন  লাভ হবে অন্তত পাঁচ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আর ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা সম্ভব।  

তিনি প্রথমে কৌতূহলবশত এক বিঘা জমিতে  দুইশ’ ড্রাগন ফলের চারা  লাগান। প্রথম দিকে বাণিজ্যিকভাবে চাষের কথা না ভাবলেও এখন তিনি লাভের মুখ দেখছেন।

রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান গবেষক মো. আলীম উদ্দীন বলেন, ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, মিনারেল, উচ্চ ফাইবারযুক্ত পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা  বাড়ন্ত শিশু ও বয়স্কদের জন্য বেশ উপকারী।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হয়রত আলী বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়ায়  ক্যাকটাস জাতীয় এই  ড্রাগন ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে বাউ ড্রাগন ফল-১ ও বাউ ড্রাগন ফল-২ চারা পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে এই ফলচাষে খরচ হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। তিন বছর পর এই বাগান থেকে আসবে দ্বিগুণেরও বেশি টাকা।

“ঠিকমতো পরিচর্যা নিলে  একইভাবে ফল দিবে অন্তত ১৫ থেকে ২০  বছর,” বলেন তিনি।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com