কুড়িগ্রামে বন্যা অবস্থার অবনতি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন গ্রাম। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

রোববার ধরলার পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

"পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।"

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। গত তিন দিনে নদী ভাঙনে আরো চার শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কুড়িগ্রাম বন্যা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারি হিসাবে ৩৩টি ইউনিয়নের ৩২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৪১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা এখন বন্যার পানিতে ডুবে আছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চার হাজার তিনশ ৬২টি পরিবার। নদী ভাঙনের এ সংখ্যা ৪৮ ঘণ্টায় বেড়েছে চারশ ৩২টি। 

এই সময়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় ১৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

দুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. জয়নাল আবেদীন জিল্লুর বলেন, "বন্যা দুর্গত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে।"

এখন পর্যন্ত কোন খারাপ খবর নেই জানিয়ে তিনি বলেন গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪ জন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। 

ইতোমধ্যে ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও একশ ৯২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, "ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com