নদী ভাঙনে গত কয়েক বছরে শতাধিক বাড়ি বিলীন হলেও ভাঙন ঠেকাতে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সম্প্রতি সরেজমিনে জানা যায়, কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাজারদেহা, রামদেবপুর, আকাশিল ও ভামদা গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ নদী ভাঙনের হুমকিতে বসবাস করছেন।
ভামদা গ্রামের পরিতোষ রায় বলেন, "প্রতি বর্ষায় টাঙ্গন নদী ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। বর্ষা আসছে তাই খুব আতঙ্কে আছি।"
ভাঙন ঠেকাতে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে বছরের পর বছর দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানান একই গ্রামের ফয়জুল ইসলাম।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ৬৮ বছর বয়সী শফি মোহাম্মদ বলেন, "এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বাররা খালি ভোটের আগে আশ্বাস দেন যে ব্যবস্থা নেবেন, কিন্তু ভোটও শেষ ব্যবস্থাও শেষ।"
"কষ্ট করে জমি যা কিনেছিলাম তার সবই চলে যাছে এই নদীতে।"
তার মতো আরও অনেক লোকের জমি এই টাঙ্গন নদীর গর্ভে চলে গেছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
গত কয়েক বছরের ভাঙনে বাজারদেহা গ্রামের পূর্ব দিকে টাঙ্গন নদী ভাঙনের ফলে বাঁশ বাগান, গাছপালাসহ অনেক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় রাজিউর রহমান রাজু।
তিনি বলেন, "এবারের বর্ষাতেও আমাদের বেশ কয়েকটি পরিবারের বাড়ি নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে। যদি প্রশাসন এগিয়ে আসে তবেই পরিবারগুলো ভাঙনের কবল থেকে বেঁচে যায়।"
এদিকে প্রকল্প অনুমোদন পেলেই ভাঙন রোধে কাজ করার কথা জানান ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেসবাহ উদ্দীন।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।