শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই অধ্যায়গুলো আসলে শিক্ষকরা কৌশলে এড়িয়ে যান।
পরিচয় গোপন করার শর্তে কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী বলে, "আমাদের শিক্ষকরা খেলাধুলা বিষয়ক অধ্যায়গুলো নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করেন। আর ঐ অধ্যায়গুলো বাসায় পড়ে নিতে বলেন।"
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া দিদারুল ইসলাম নিপু বলে, "বুঝতে না পারায় আমি একদিন স্যারকে বয়সন্ধিকাল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। স্যার বলেন বড় ক্লাসে উঠলে জানতে পারবে।"
দশম শ্রেণিতে পড়ে রাবেয়া। ও বলে, "আমাদের টিচাররা এই অধ্যায়গুলো নিয়ে কখনোই বিস্তারিত আলোচনা করেন না। স্টুডেন্টদের নিজে নিজে পড়তে বলেন।"
বয়ঃসন্ধির নানা সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা না থাকলে কিশোর কিশোরীরা বিপত্তিতে পড়বে বলে মনে করেন বিএএফ শাহীন কলেজের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ও কাউন্সিলর নইমা আক্তার।
তিনি বলেন, "ট্যাবু মনে করে, লজ্জা মনে করে ফেলে রাখলে তো হবে না। মাধ্যমিকের ছেলে মেয়েরা বয়সন্ধিকাল অতিক্রম করে। তাদের এই সময়টাতে জানার বেশ প্রয়োজন আছে। না হয় হিতে বিপরীত হবে।"
এজন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন মতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক আবুল হোসেন।
তিনি বলেন, "না না আমাদের স্টুডেন্টরা কখনো এমন অভিযোগ করেনি। হ্যাঁ পড়া দেওয়া হয়। হোমওয়ার্ক সেটা। সিলেবাস অনুয়ায়ী যা আছে আমরা সব পড়াই।"
এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিদা বেগম নাজমার সঙ্গে। তিনি হ্যালোকে বলেন, "আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। কেউ অভিযোগও করেনি।"
তিনি আরও বলেন, "এ বিষয়ে নতুন একটি প্রোজেক্ট নেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে পড়ানোর জন্যই এই প্রোজেক্ট। বইয়ের মডিউল দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষকরা হয়তো পড়াবেন না। তাই তাদের স্পেশালি ইন্ট্রোডিউস করা হয়েছে।"
বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে জানানোর জন্য তিনি হ্যালোকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।