'বাদাম বেচতাম না, স্কুলে পড়তাম'

“আমার খুব পড়তে ইচ্ছে করে কিন্তু অভাবের কারণে স্কুল ছেড়ে বাদাম বেচতে হচ্ছে,” বলল সুজন। 

ভজনপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে ও। দুবেলা দুমুঠো ভাতের  জোগাড় করতে বাদাম বিক্রি করে। তার আর বাবার আয়েই চলে ওদের পাঁচ জনের পরিবার। 

সুজন বলে, "আমি আগে পড়া লেখা করতাম। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। কিন্তু বাড়ির অভাব আমাকে পড়তে দিল না।”  

সুজনরা তিন ভাই-বোন। বাবা পাথর ভাঙা শ্রমিক। তবু তার বাবা অনেক কষ্টে তাকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। বাবার মজুরি দিয়ে পরিবারের খরচ চলে না। তাই তাকে শুধু পড়াই ছেড়ে দিতে হয়নি বরং চৌদ্দ বছর বয়সেই রোজগার করতে পথে নামতে হয়েছে।

সারাদিন বাদাম বেচে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পায়। কিছু হাত খরচ রেখে বাবা-মাকে দিয়ে দেয় বাকি টাকা।

"অভাব না থাকলে পথে পথে বাদাম বেচতাম না, স্কুলে পড়তাম”, বলে সুজন। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com