কোদালকাটি ইউনিয়নের সাজাই সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড সভাপতি ও কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু তাহেরের ছেলে স্বপন মিয়া (২২) ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে মেয়েটিকে তুরে নেয়ার চেষ্টারও অভিযোগ করেন মেয়েটির স্বজনরা।
তবে, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের এ অভিযাগে অস্বীকার করেছেন।
ভয়ে মেয়েটির স্বজনরা থানায় মামলা দিতেও পারছেন না।
মেয়েটির বাবা (পরিচয় প্রকাশ করা হলো না) জানান, গত ১৫ জুন রাতে বখাটে স্বপন মিয়া, তার বন্ধু ফারুক হোসেন (২০) ও জুয়েল রানা (২২) তাদের বাড়ি থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করার চেষ্টা করে।
ওই সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে গ্রামবাসী বেরিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
মেয়েটির মা (পরিচয় প্রকাশ করা হলো না) বলেন, “আমগর বাড়ি ছিল চরে। নদীত বাড়ি ভাইঙ্গা যাওনের পর এই গেরামে বাড়ি নিছি। গেরামে আপন বলতে কেউই নাই আমগর।”
“ঘটনার রাতে বাইত্তে আমি আমার ছেলের বউ ছিলাম। আমার মেয়েকে জোর কইরা তুইলা নেওয়ার সময় শয়তানরা কামড় দিয়া রক্ত বাইর কইরা দিছে। হেরপর থিকা মাইয়া আমার স্কুলে যায় না, খালি কান্দে; কয় আমার আর স্কুলে পড়া অইব না। হ্যাই ঠিকমতো খায়ও না।”
মেয়েটি (পরিচয় প্রকাশ করা হলো না) জানায়, “স্কুলে যাতায়াতের সময় ওই ছেলেরা আমাক খুবই জ্বালাইছে। ওড়না ধইরা টান দিছে। আমার সঙ্গে স্বপন ছ্যাড়া প্রেম করবার চায়। আমি রাজি হই না দেইখ্যা আমাকে তুইলা নেওয়া ধরছিল।”
কোদালকাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমত আলী বলেন, “ঘটনার পর থেকে মেয়েটি স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আর কিছু বলতে পারব না।”
কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, “তারা সরকারি দল করে। দলের পাওয়ার দেখায়। আমি কয়েকবার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু ছেলেপক্ষ রাজি হয় না।”
এ ব্যাপারে রাজীবপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, “এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আমি জানিও না বিষয়টি। তারপরও খোঁজ নিয়ে দেখব।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে ছেলেটির বাবা আবু তাহের বলেন, “আমার ছেলেকেই মেয়ের ভাবি বাড়িতে ডেকে নিয়ে চেঁচামেচি করেছে, যাতে তাকে ফাঁসিয়ে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিতে পারে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি।”