আমার স্বপ্ন, আমার ইচ্ছা, সাংবাদিকতার মাধ্যমে আমি এ দেশের দরিদ্র শিশুদের জন্য কিছু করতে চাই। দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন আমাকে শৈশব থেকেই তাগিদ দিয়ে আসছে।
অনেক ছেলেমেয়েকে দেখি, দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ওদের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়! ওদের পাশে দাঁড়াতে পারি না ভেবে খুব খারাপ লাগে। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। সব শিশুকে শিক্ষিত করতে না পারলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
মাঝে মধ্যে মনে হয়, আমার যদি অনেক টাকাপয়সা থাকত তাহলে ওদের সবার লেখাপড়ার দায়িত্ব আমি নিতাম। আমি এখনো ছাত্র। আমার কোন টাকা নাই। তাই বলে থেমে থাকলে তো আর চলবে না। আমি সুবিধাবঞ্চিত শিশু, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করব, এমন ইচ্ছা নিয়েই আমি শিশু সাংবাদিকতা শুরু করি। যারা নিজেদের কথা বলতে পারে না, তাদের কথা সবার সামনে তুলে ধরতে শুরু করি।
ভালোবাসা দিয়ে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে একজন সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই সর্বক্ষণ। যোগ্য সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই সাংবাদিকতা বিভাগে।
নিজেকে একজন নির্ভীক, যোগ্য সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, এটিই আমার স্বপ্ন। কারণ সমাজে সাংবাদিকদের রয়েছে অনেক দায়বদ্ধতা। এ দায়বদ্ধতা হচ্ছে অনিয়ম ও দূর্নীতির সঠিক চিত্র উদ্ঘাটন করে জনসমক্ষে তুলে ধরা। আর এ জন্য নানা বাধার সন্মুখিন হতে হয় সাংবাদিকদের। এটাই হল সমাজের কাছে সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা। তাই আমার কাছে সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, এর বাইরেও অনেক কিছু।
স্কুলের অনেক সহপাঠী আমাকে বলত, খবরদার সাংবাদিকতার নাম করবি না। সাংবাদিক হয়ে মরার ইচ্ছা আছে? মার খেতে পারবি?
মাঝে মাঝে মনে হয়, বন্ধুরা তো মিথ্যে বলেনি। টিভির পর্দায় বা পত্রিকার পাতায় মাঝে মধ্যে সাংবাদিকের এমন করুণ ছবি দেখতে আমরা অভ্যস্ত। তার পরও আমি সাংবাদিক হতে চাই।
দেশের অধিকাংশ তরুণ যখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার কিংবা কর্পোরেট চাকরির জন্য স্বপ্ন দেখে, তখনই আমার মনে হয়, আমি এখন শিশু সাংবাদিক। বড় হয়েও আমি সাংবাদিক হব। সাংবাদিকের কলমই পারে সমাজের কালো দাগ মুছে দিতে।