চার মাস এমন কোনো বেশি সময় নয়। মাত্র ১২০ দিন। তবে এই অল্প সময়ে আমি হ্যালোর কাছ থেকে যা পেয়েছি তার হিসেব নেই। এখান থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি।
হ্যালোয় অনেক শিশু-কিশোর কাজ করে। যাদের প্রত্যেকটি লেখা আমাকে ভাবায়। আমার ভুল শুধরাতে সাহায্য করে। হ্যালো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়, আমরা যে সমাজে বসবাস করি সেখানে শিশুরা কতটা অবহেলিত। সে সমাজ মোটেও শিশু বান্ধব নয়।
অন্য শিশু সাংবাদিকদের মত হ্যালোতে আমিও নিয়মিত লেখি। লেখা প্রকাশিত হলে আমার খুব ভালো লাগে। অনু্প্রেরণা পাই নতুন কিছু করার, নতুন কিছু ভাবার।
হ্যালো আমার মতো অনেক কিশোরকে নিজের কথা, বন্ধুদের কথা, নিজের এলাকার খবর জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এতে তারা এই বয়সেই জানতে পারছে তাদের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে।
আমি পড়ালেখার পাশাপাশি হ্যালোতে লিখি। আমার অনেক দিনের আশা ছিল আমার লেখা ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে। আমার এ আশাও পূরণ করল হ্যালো। তাদের 'আমার কথা আমাদের কথা' বইটিতে আমার একটা লেখা ছাপানো হয়েছে।
এজন্যই হ্যালোকে আমার খুব আপন মনে হয়। একদম খুব কাছের বন্ধুর মত।