ফুটপাথই বাড়ি
যাদের খাবারের নিশ্চয়তা, ঘুমানোর জায়গা নেই তাদের কাছে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হতে চাওয়া বিলাসিতাই বৈকি।
এমন অনেক শিশুর মত জসীমও একজন। ও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে খবরের কাগজ বেচে।
সারাদিন কষ্ট করে যা পায় তা দিয়ে নিজের খাবার হয় না। থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করবে কি করে। তাই কখনও বাস স্ট্যান্ড কখনও রেল স্টেশন আবার কখনও ফুটপাথই ঘুমে পড়ে।
রাজশাহীর শিরোইল কলোনীতে জসীমের বাবার বাড়ি থাকলেও ও সেখানে থাকতে পারে না। তাই ফুটপাথ ছাড়া উপায় কী?
সে জানায়, তার বাবা মাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করেছে। মাও আর একজনের সঙ্গে চলে গেছে।
তাই বাধ্য হয়ে তিন বছর আগে অল্প কিছু টাকা হাতে নিয়ে খবরের কাগজ বেচতে শুরু করে।
বলে,"আমার খুব পড়তে ইচ্ছা করে। কিন্তু খাবারই পাই না পড়ব কীভাবে?"
কোনো দিন দুই বেলা আবার কোন কোন দিন এক বেলা খাবার জোটে ওর। স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণ করার ক্ষমতা নেই।
ভাবছি বাবা মা নেই তবে বেঁচে থাকার লড়াইটা ঠিকই আছে। ওর সাথে কথা বলতে বলতে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ওদের দেখার মত কেউ নেই? তবে থাকা উচিত ছিল।