হামিদা বানু। ৫ ছেলের গর্বিত মা। পথে পথে ঘোরেন। কেউ কিছু দিলে খেতে পান, না হলে না খেয়েই দিন কাটে তার। ছোট ছেলের কাছে থাকতেন। সেই ছেলে মারা যায় ক্যান্সারে, বিনা চিকিৎসায়।
Published : 03 Oct 2013, 01:32 PM
অন্য চার ছেলের সবাই বিয়ে করে নিজের সংসারে ব্যস্ত। কেউই মাকে খেতে দেয় না। বাড়িতে থাকবার জায়গাও দেয় না। সেই থেকে তিনি গৃহহারা। মাথা গোঁজার ঠাই নাই, রাস্তাই তার ঘরবাড়ি, তার ঠিকানা।
একদিন তিনি স্বচ্ছল ছিলেন। ছেলেদের মানুষ করতে গিয়ে আজ তিনি নিঃস্ব। অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেরা বড় হবে। তার সুখের সীমা থাকবে না। আজ যখন তিনি বৃদ্ধ ও অসুস্থ ছেলেরা তখন তার পাশে নেই।
এক বেলা পেট পুরে খেতে পেলেই তিনি খুশি। গত কয়েক বছর ধরে ঈদে নতুন কাপড় পরা তার কাছে স্বপ্নের মত। একদিন তিনিই মানুষকে ঈদে কাপড় দিয়েছেন, আজ তার ভাগ্যে কাপড় জোটে না।
পেটে টিউমার, আরো অনেক অসুখ তার। দুবেলা ভাত জোটে না যার, চিকিৎসার টাকা কোথায় পাবেন?
আমদের দেশেও এখন বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠছে। বাড়িতে আশ্রয় হারিয়ে মা-বাবার ঠিকানা হয় এখন বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানেই বা ঠাঁই হয় কজনের? তাই হামিদা বানুর মতো শত শত মা পথে পথে ঘোরেন। পেটে ভাত নাই, পরনে শতছিন্ন কাপড়। অসুখে ভুগে বিনা চিকিৎসায় পথের ধারেই তাদের মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
একটু লক্ষ করলেই আমাদের চারপাশে এরকম দুঃখী মানুষদের দেখতে পাই। কখনো এড়িয়ে যাই, কখনো তাকিয়েও দেখি না!