শিশুরা শিখুক খেলতে খেলতে

আমি জারিফ। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছি।
শিশুরা শিখুক খেলতে খেলতে

ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল নতুন কিছু করার। কেননা নতুন কিছু করার মধ্যেই ছিল এক অন্য রকম আনন্দ।

সব সময় নানান চিন্তায় মগ্ন থাকতাম। ভাবতাম বড় হয়ে এমন একটা কিছু করব যা হবে একদম নতুন। ধীরে ধীরে বড় হলাম। সঙ্গে বাড়ল পড়ার চাপ। সেই সঙ্গে ছোট বেলার ইচ্ছাগুলো উবে যেতে লাগল।

এজন্য মাঝে মাঝে আমার স্কুল, চাপিয়ে দেওয়া লেখাপড়ার উপর বড্ড রাগ হয়। আমাদের স্কুলগুলোতে যেন মেধার চাইতে বেশি যাচাই করা হয় স্মৃতিশক্তি। আর এই স্মৃতিশক্তির পরীক্ষাও পাঠ্যবই কেন্দ্রিক।

পড়াশোনা থেকে একেবারেই আগ্রহ কমে গিয়েছিল যখন দেখলাম আমার বন্ধুরা কিছু না বুঝে শুধু মুখস্থ করেই পাস করে চলেছে। ফলে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের মেধা না দেখে দেখত তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে। তাদের কাছে যেন নম্বরই সব। সন্তান কিছু শিখছে কিনা তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।

ছোট বেলার এই মেধাবী ছাত্রদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? তারা ছোট বেলা থেকেই যে শুধু মুখস্থ করে এসেছে।

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে একটা জাদুর কাঠি এনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলে ফেলি। কিন্তু তাতো সম্ভব নয়। তাই স্বপ্ন দেখি, একদিন বদলে যাবে শিক্ষাব্যবস্থা। নম্বরের চেয়ে বেশি মূল্যায়ন হবে অর্জিত জ্ঞানের, শিক্ষার।

আমার ছোট বোন যে স্কুলে পড়ে সেখানে পড়াশোনা করানো হয় না, গেলানো হয়। শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে বইয়ে যেটা দেওয়া আছে সেটাই পরীক্ষায় লিখতে হবে। এর বাইরে কিছু লিখলে কাটা যায় নম্বর। হাহ!

তবুও স্বপ্ন দেখি, টেবিলে মুখ গুঁজে নয়, শিশুরা শিখবে খেলতে খেলতে। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com