দিবসটি পালন ভালো না খারাপ, আমাদের উদযাপন করা উচিত কি না এ নিয়ে হাজারটা বিতর্ক রয়েছে। তবে আজ আর কারও সঙ্গে বিতর্কে যাচ্ছি না। কারণ ভালোবাসাটাই আসল। তর্ক করলে পাছে দূরত্ব বাড়বে। তারচে বরং চলুন সবাই মিলে দিবসটি উদযাপন করি, মানুষকে ভালোবাসি।
প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরবেন, বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড় করবেন সব ঠিক আছে। সারাদিনের এই ঘোরাঘুরির মাঝে সুবিধাবঞ্চিত কোনো শিশুকে পাশে বসিয়ে তার পছন্দের কোনো খাবার খাওয়ান। আসার সময় একটা ছোট্ট লাল গোলাপ দিয়ে তার কানের কাছে মাথাটা নিয়ে টুক করে বলে ফেলুন, ‘শুভ ভালোবাসা দিবস।’
বন্ধু নেই, প্রেমিক, প্রেমিকা নেই? তাতেই না কি এসে গেল। আপনার ছোট ভাই-বোনকে শহীদ মিনারে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় সালাম, রফিকদের দেশের প্রতি ভালোবাসার গল্প শোনান। ২১ ফেব্রুয়ারির গল্প বলুন।
কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে চেনেন, কিন্তু জীবনে কোনোদিন তার কাছে যান নাই। ফুলের দোকান থেকে কিছু ফুল কিনে চলে যান তার কাছে। তার দেশের প্রতি প্রেম আর ভালোবাসার কথা শুনুন। শুনে আসুন দেশের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে মানুষ নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে অবলীলায়। আসার সময় তাকে আলিঙ্গন করুন, বিশ্বাস করুন শান্তি মিলবে।
এগুলো সামান্য কিছু উদাহরণ। এরকম আরও হাজার উপায়ে দিনটাকে পালন করতে পারেন। এতে ভালোবাসা দিবসটা আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। করে ফেলুন না নিজের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ!
এই একটা দিনকে কেন্দ্র করে হয়ে যেতে পারে হাজারটা ভালো কাজ। দেখবেন আপনার এমন পরিকল্পনার কথা শোনে আপনার বন্ধুও তার প্রেমিকাকে নিয়ে চলে গেল এক বস্তিতে। সারাদিন পথশিশুদের সঙ্গে হুল্লোড় করে দেখুন, কথা দিচ্ছি ভালো লাগবে। দেখবেন আপনার অন্য বন্ধুটি প্রেমিকাকে নিয়ে চলে গেহে বৃদ্ধাশ্রমে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের জন্য।
জীবন খুবই সহজ, শুধু ভালোবাসতে শিখুন। দেখবেন আশেপাশে আনন্দ আর সুখের ছড়াছড়ি।