প্রথমে দেশি জাতের এক জোড়া কবুতর কিনেছিলাম। এরপর থেকে টাকা গুছিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক জাতের কবুতর কিনি।
আমার সিরাজী, হুমা, গিরিবাচ, লোটন, লাল গিরিবাচ, বিউটি হুমা নামের ১০ জোড়া কবুতর ছিল আমার। পাঁচশ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে কবুতর কিনেছিলাম।
আমি খুব একটা সচ্ছল ঘরের ছেলে না। তবুও টাকা জমিয়ে কবুতর কিনতাম। কারণ আমি মানি, নিজের শখের চেয়ে বড় কিছু নেই।
ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কবুতরের সংখ্যা। কিন্তু মা বাবা এটা পছন্দ করতেন না। তারা বাধা দিতেন।
বাবা বলতেন, এসব করে নাকি আমার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। প্রায়ই শুনতাম বাবা বলতেন সব কবুতর বেচে দেবেন। তখন বুকের ভেতরটা খচখচ করত। কারণ ওরাই তো আমার একমাত্র বন্ধু। আমার অবসরের একমাত্র প্রিয় সঙ্গী। পাছে বাবা সত্যি বেচে দেন এই ভয়ে কবুতরগুলো একবার এক বন্ধুর বাড়ি রেখেও এসেছিলাম। কিছুদিন পর অবশ্য থাকতে না পেরে ফিরিয়ে এনেছি। কবুতর দেখতে ও কিনতে প্রতিদিনই অনেকে আসতেন বাড়িতে।
তবে আমাদের এই বন্ধুত্ব নজর লেগে যায় কারো। একদিন সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আমার কবুতরের ঘর ফাঁকা। কোথাও কিছু নেই। সব কবুতর কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। সেদিন আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, কেঁদেছিলামও অনেক। বাড়ির সবার বকাও খেতে হয়েছে। এরপর থেকে আর কবুতর কেনা হয়নি। তবে ইচ্ছে আছে বড় হয়ে অনেক বড় পরিসরে আমি কবুতর পালন করব।