গত দশ বছর ধরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নাম্বার এলাকায় কাঁকড়া বিক্রি করছেন বাবু বড়ুয়া। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উত্তরায় বিদেশে রপ্তানীর জন্য কাঁকড়া আসে। সেখান থেকেই পাইকারি দরে কিনে এনে তা বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি।
বিভিন্ন হোটেল-রেস্তেরার লোকরাই তার নিয়মিত ক্রেতা। তবে সৌখিন মানুষ ব্যতিত অন্য কেউ অবশ্য কাঁকড়া ক্রয় করেন না বলে জানান এই বিক্রেতা।
মহামারির কারণে ব্যবসা কমে গেলেও প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ কেজি কাঁকড়া বিক্রি করেন বাবু বড়ুয়া।
তিনি বলেন, “মোটামুটি অনেকেই কেনেন। ভুনাও খাইতে পারবেন, স্যুপ খাইতে পারবেন আবার রান্নাও করে খাওয়া যায়। কেউ নারকেল দিয়াও খায়।”
কাঁকড়ার সাইজ অনুযায়ী দামের ভিন্নতা হয়। মিরপুরে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। উপকূলীয় এলাকায় কাঁকড়া চাষ করে অনেকেই সুফল পাচ্ছেন, পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা।
কাঁকড়া কিনতে আসা ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, “আমার এটা খাওয়ার খুব শখ ছিল। আগে খুঁজছিলাম পাইনি তো। আজকে পেয়ে গেলাম। আমার নানু আবার কাঁকড়া খুব পছন্দ করে।”