অভাবের কাছে হার মেনেছে শৈশব (ভিডিওসহ)

জাহিদ। বয়স ছয় বছরের এদিক-ওদিক। বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার বয়সে তাকে বইতে হয় ইটের বোঝা।
অভাবের কাছে হার মেনেছে শৈশব (ভিডিওসহ)

সম্প্রতি রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এলাকায় গিয়ে দেখা হয় জাহিদের সঙ্গে। ওই এলাকায় রয়েছে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি বস্তি। সেখানে গিয়ে আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে দেখা হলো।

বেশিরভাগ শিশুর পরনেই রং চটে যাওয়া হাফপ্যান্ট, জুতাবিহীন পা, ময়লা-কাদায় অপরিচ্ছন্ন শরীর। সবার বয়সই ছয় থেকে আটের মধ্যে। অভাব-অনটনের ছাপটা তাদের গড়নেই স্পষ্ট।

কেবল জাহিদ নয়। তার বয়সী অনেক শিশুই নানা ধরনের কাজ করে। কথা বলে জানা যায়, বাবা-মায়ের সামর্থ্য নেই তাই সংসারের হাল ধরতে এ বয়সেই কাজে নেমেছে তারা।

জাহিদ বলে, ‘আমি ইট টানি। মা-বাবা ভর্তি করায় দেয় না তাই পড়ি না। ইট না টানলে আমগো আম্মায় মারে।’

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাত বছর বয়সী রাকিবেরও একই অভিযোগ। তাদের কারোরই স্কুলের চৌকাঠ পেরোনোর অভিজ্ঞতা হয়নি। আট বছর বয়সী মোহন চায়ের দোকান চালায়।

সে বলে, ‘স্কুলে যাইতে ইচ্ছা করে কিন্ত আব্বার শরীর খারাপ দেখে যাইতে পারি না।’

আর্থিক সংকটে পড়ালেখা করাতে পারছেন না, এমনটাই জানিয়েছেন শিশু জাহিদের মা আলেয়া খাতুন।

তিনি বলেন, ‘ট্যাহা-পয়সা নাইক্যা। অহন আমরা গরীব মানুষ। আমরা পড়াবার পারি না। আমরা কাজ-কর্ম কইরা খাই।’

এই নিয়ে কথা হয় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিন্নাত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই শিশুদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। বস্তিবাসীর জন্য আমাদের একটা বড় প্রকল্প আছে।’

এসময় তিনি সহায়তা করার জন্য এসব শিশুদের একটি তালিকাও চান হ্যালোর প্রতিবেদকের কাছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com