এই ফুটেজের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজার পরিস্থিতি আর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে শিশুদের জীবনচিত্রকে পাখির চোখে দেখার সুযোগ হয়।
গাজা শহরে শিশুরা ভবনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই খেলাধুলা করেছে। একটি ভাঙাচোরা চেয়ারে বসে ১১ বছর বয়সী আমল রামজি মোহাম্মাদ নাসের তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়ানক মুহূর্তটির বর্ণনা দেয়।
সে বলে, "আমরা আমাদের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমরা বিস্ফোরণ আর ওপর দিয়ে হামলার শব্দ শুনতে পাই। বিমানের হামলা আমাদের আশেপাশের বাড়িতে আঘাত করায় আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়ে বাবা-মাকে ডাকতে শুরু করি। জানালা এবং দরজা আমাদের ওপর এসে পড়ছিল। জুতা ছাড়াই আমরা হাসপাতালে যাই। আর আমার মা তার হিজাব ছাড়াই হাসপাতালে আসেন।"
২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েল এবং হামাসের সবচেয়ে ভয়ানক যুদ্ধটি এখন বিরতিতে রয়েছে। ২১ মে শুক্রবার ভোর হওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এবং মিশরের মধ্যস্ততায় যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সর্বশান্ত এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার সবকিছু পুনঃনির্মাণে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলার খরচের কথা জানিয়েছে। আবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে ১১ দিনের যুদ্ধে ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও ইসরায়েল দাবি করছে রকেট এবং মিসাইলের আক্রমণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।