ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশে।
সিএনএনের একটি প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সেই নারী তার স্বামী ও চার সন্তানসহ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাসিক শহর থেকে পায়ে হেঁটে মধ্য প্রদেশের শাটনায় যাচ্ছিলেন। এই পথ অতিক্রমের মাঝেই তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন
মধ্য প্রদেশের একটি চেক পোস্টে কাবিতা কানেশ নামের এক অফিসার তাদেরকে থামান।
কানেশ জানান, চেক পয়েন্টের পৌঁছানোর চারদিন আগে, অর্থাৎ ৫ মে শিশুটির জন্ম হয়।
তিনি সিএনএনকে বলেন, "সন্তান জন্মের পর সেই নারী মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম নেন। পরিবারটির কাছে কোনো অর্থ নেই। এছাড়াও কোনো যানবাহনও তাদেরকে সাহায্য করেনি!"
তিনি সেই নারীটিকে কোয়ারেন্টিন সুবিধা ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন থাকায় তাদের উপার্জন করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং তাদের কাছে থাকার মতো কোনো জায়গা নেই বলে নাসিক শহর ছেড়ে এসেছেন বলে ধারণা করছেন চেক পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা কানেশ।
লকডাউন থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষগুলো। কাজ না থাকায় যারা দূরে বা শহরে কাজ করতেন তারা নিজ গ্রামে ফিরছেন। তবে তারা অর্থের অভাবে এবং যানবাহন না থাকায় পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।