করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব এক হয়ে লড়ছে, এই যুদ্ধে সামিল হয়েছে আফিয়াও। ইতিমধ্যে পিপিই বা পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট সেলাইয়ের কাজ করছে ও।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম বা পিপিই সেলাইয়ের কাজ করে দিচ্ছে ছোট্ট এই শিশু।
প্রতিদিন খেলার সময় থেকে সময় বাঁচিয়ে ও অনলাইন ক্লাসের মাঝের অবসর সময়ে পিপিই গাউন সেলাই করছে ও। এখন, প্রতিদিন চারটি করে পিপিই গাউন তৈরি হচ্ছে তার হাতে।
পাঁচ বছর বয়স থেকে সেলাইয়ের কাজ শিখে নূর আফিয়া। পড়ালেখার পাশাপাশি সেলাই শিখত ও। ছোট্ট শিশু আফিয়ার জন্য কোভিড-১৯ বোঝা কঠিন হলেও, ও জানে এটি খুব বিপদজনক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফিয়া বলেন, "আমি খুব খারাপ অনুভব করছিলাম। তাই আমি মাকে বলেছিলাম, আমি চিকিৎসকদের সাহায্য করতে চাই!"
মার্চের শুরুর দিকে নূর আফিয়া ১৩০টি পিপিই গাউন তৈরি করছে। যা কাছের দুইটি হাসপাতালের জন্য সেলাই করা হয়। ৬০ টিরও বেশি পিপিইর কাজ এখনো বাকি আছে।
সারাদিন রোজা রেখে কাজ করা একটু কঠিন হলেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিশ্চয় তার ছোট্ট হৃদয় আনন্দ পায়।
নূর আফিয়ার মা হাসনাহ হুদ পেশায় একজন দর্জি। যিনি তার ব্যবসার জন্য কাপড় সেলাই করেন। সেখান থেকেই আফিয়া সেলাইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়। ধীরে ধীরে আফিয়া দক্ষ হয়ে উঠেছে।
আফিয়ার সেলাই করা পিপিই গাউন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল কর্মীদের পরা দেখে তার মেয়ে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়, বলেন হাসনাহ হুদ।
আফিয়া তার মাকে বলেছে, "মা, আমি ভাবছি আমার এখন স্কুলের কোনো কাজ নেই। তাই আমি আরও সেলাই করব!"
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মালয়েশিয়ায় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনভাইরাস সংঘটিত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬০০ এর পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।