করোনাভাইরাস থেকে ‘একেবারে ঝুঁকিমুক্ত নয়’ শিশুরা

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও।
করোনাভাইরাস থেকে ‘একেবারে ঝুঁকিমুক্ত নয়’ শিশুরা

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের গড় বয়স ৪৯-৫৬ বছরের মধ্যে। শিশুরা সর্বনিম্ন ঝুঁকিতে রয়েছে তবে একেবারে ঝুঁকিমুক্ত নয়।

মহামারী ও রোগবিস্তার সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ক্রিস জনসন লাইভ সায়েন্সকে বলেন, "আসলে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া না গেলেও নিউমোনিয়ার লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে যা করোনাভাইরাস থেকেই সৃষ্ট। এটা সত্যিই উদ্বেগের কারণ।"

চীনের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। চীনসহ ২০ এর অধিক দেশে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে। মূলত চীনের হুবেই প্রদেশে এই ভাইরাস আক্রান্তদের ব্যাপকতা থাকলেও অন্যান্য দেশগুলোতেও আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। ফিলিপাইন ও ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশি আক্রান্তের খবরও পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন গবেষকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে। তাদের মতে, চীনের হর্সশু নামের এক প্রকার বাদুড়ের সঙ্গে ভাইরাসটির যথেষ্ট মিল পাওয়া গেছে। চীনের মানুষ বাদুড়, সাপ, তেলাপোকাসহ বিভিন্ন ধরণের পশুপাখি খেয়ে থাকে। গবেষকদের মতে, এসব পশুপাখি থেকেই ভাইরাসটি মানবদেহে প্রবেশ করেছে এবং খুব দ্রুত অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে চীনের সেবিকা ও চিকিৎসকদের। তাদের সংস্পর্শে পরিবারের কেউ সংক্রমিত হতে পারেন, এজন্য অনেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার একটি ভিডিওতে দেখা যায়। হাসপাতালের বাইরে সেবিকা মায়ের সাথে দেখা করতে এসছে তার কন্য। মা-মেয়ে আলিঙ্গন করেছে দূর থেকেই।

দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস নিয়ে অনেকেই আতঙ্কে ভূগছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার নানা সতর্কতা প্রচার করছে। আতঙ্কিত না হয়ে পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com