সাদা দাঁড়ি লাল টুপির বুড়ো

শিশুদের কাছে বড়দিনের প্রধান আকর্ষণ সান্তা ক্লজ। কিন্তু সাদা দাঁড়ি, লাল কোটের এই বুড়ো মানুষটি কে?
সাদা দাঁড়ি লাল টুপির বুড়ো

কথিত আছে, ‘জিংগল বেলস, জিংগল বেলস, জিংগল অল দ্য ওয়ে.. গাইতে গাইতে ২৪ তারিখ গভীর রাতে কিংবা বড়দিনের প্রথম প্রহরে আসেন সান্তা ক্লজ। এ সময়টাকে বলা হয় ‘ক্রিসমাস ইভ’। সকালে দেখা যায় ‘ক্রিসমাস ট্রি’র নিচে শিশুদের জন্য নানা উপহার রেখে গেছেন তিনি। শিশুদের তো সে আনন্দে রাতে ঘুমই আসে না।

একেক দেশে সান্তা ক্লজ নিয়ে একেক রকম প্রথা চালু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার শিশুরা ঘুমানোর আগে সান্তা ক্লজের জন্য এক গ্লাস দুধ আর বিস্কুট রেখে দেয়। সাথে রেখে দেয় নতুন মোজা। সকালে উঠে সেই মোজার ভেতরে পায় উপহার। সুইডেন বা নরওয়েতে শিশুরা সান্তার জন্য রাখে রাইস পরিজ। অ্যায়ারল্যান্ডে রাখা হয় বড়দিনের পুডিং।

বলা হয়ে থাকে, বরফঢাকা উত্তর মেরুতে বসবাস সান্তা ক্লজের। এক স্লেজ গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ান তিনি, যে গাড়ি টানে বলগা হরিণ। তার গাড়িটি যে শুধু মাটিতে চলে তা নয়, আকাশেও উড়ে বেড়াতে পারে। বড়দিনের আগে অনেক কাজ সান্তা ক্লজের। সব শিশুর কাছে যেতে হয়। তাইতো তার গাড়িটি তাকে বেশ সাহায্য করে।

সান্তা ক্লজ বেশ হিসাবি মানুষ। তার বিশাল এক খাতা রয়েছে। যেখানে বিশ্বের সব শিশুর নাম টুকে রাখে সে। তাদের আবার ভাগও করা হয়, দুষ্টু শিশু ও লক্ষী শিশু। লক্ষীদের দেওয়া হয় চমৎকার সব উপহার আর দুষ্টুদের জন্য বোতাম, কয়লার টুকরো ইত্যাদি। লক্ষী শিশু হওয়ার জন্য শিশুদের প্রতিযোগিতা সারা বছরই চলতে থাকে। ভালো উপহার পেতে তো হবে।

সান্তা ক্লজ প্রথাটা অনেক আগে শুরু হয়েছে তাই এর সঠিক ইতিহাস নিয়ে কিছু মতবাদ রয়েছে। সেইন্ট নিকোলাসের নাম থেকেই সান্তা ক্লজের নামের উৎপত্তি। তিনি ছিলেন এক খ্রিস্টান সাধু। তার জন্ম আনুমানিক ২৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান তুরস্কের পাতারায়। তিনি ছিলেন খুব দয়ালু। গরীব-দুঃখী মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য তিনি বেশ বিখ্যাত ছিলেন। মানুষেকে বিপদে-আপদে সাহায্যও করতেন। তার আদলেই সান্তা ক্লজের চরিত্রটি ফুটে ‍উঠতে পারে।

অনেকে মনে করেন খ্রিস্টপূর্ব যুগে দেবতা ওডিনের নামে উপহার দেওয়ার প্রথা ছিল। সেই প্রথা থেকেই ধীরে ধীরে বড়দিনের উপহার দেওয়ার প্রথা গড়ে উঠে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com