ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তার একটি সাক্ষাতকার প্রকাশ করেছে। ১১ বছর বয়সী ওমর ভুলতে পারছে না পরিবারের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো।
সে বলছিল, "আমার বাবা-মা আমাকে খুব ভালবাসতেন, তারা আমার খুব যত্ন নিতেন।"
২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তার পরিবারকে হত্যা করে। ওমর আরও বলে, "আমি প্রতিদিন সকালে উঠে কাঁদতে থাকি। চোখের পানি মুছে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই।"
মিয়ানমারে (তৎকালীন বার্মা) রোহিঙ্গাদের সাথে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাগুলো এখন মনে করাও ওমরের কাছে বেশ কষ্টদায়ক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “২০১৭ সালের অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে যার প্রায় ৫৮ ভাগ শিশু। এ পর্যন্ত এতিম শিশু পাওয়া গেছে ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন। মা-বাবা দুজনকেই হারিয়েছে এমন শিশু রয়েছে ৭ হাজার ৭৭১ জন। পিতা-মাতাহীন এসব শিশুরা আজ মানবপাচার, যৌন নির্যাতন ও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে খুব নাজুক অবস্থায় রয়েছে।"
ওমরের মতো এরকম আরও অনেক রোহিঙ্গা শিশু তাদের বাবা-মা কে খুঁজে বেড়াচ্ছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে। এই শিশুদের কোন অন্যায় ছিল না। তাদের ছিল একটি সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন যাপনের অধিকার। কিন্তু এই শিশুরা বঞ্চিত হলো রঙিন শৈশব থেকে।