চাঁদে প্রথম মানুষ, নীল

ছেলেবেলা থেকেই রাতের বেলা দূর আকাশের দিকে তাকালে যে জিনিসটি সবার আগে নজর কাড়ে, সেটা রুপালি রঙের এক গোলক। যেটা আমরা চাঁদ বলে চিনি। সেই চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন যারা তাদের একজন নীল আর্মস্ট্রং।
চাঁদে প্রথম মানুষ, নীল

অন্য অনেক গ্রহেরই চাঁদ আছে। কিন্তু পৃথিবী নামের উপগ্রহটির চাঁদ মানুষের কল্পনায়, কাব্যে যত জায়গা পেয়েছে অন্যগুলো সেভাবে পায়নি। সেই চাঁদে যিনি প্রথম পা রেখেছিলেন, তার নাম নীল আর্মস্ট্রং।

অগাস্টের পাঁচ তারিখে নীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপাকোনেটায় জন্ম নেন। বাবা স্টেফান কনিগ আর্মস্ট্রং আর মা ভায়োলা লুইসা। জাতিতে হিসেবে তিনি স্কটিশ ও জার্মান। ছোটো বেলাতের নীল আমেরিকার ২০টি শহরে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেন। বাবার সাথে দুবছর বয়সেই ক্লিভল্যান্ডে এয়ার রেস দেখার জন্য গিয়েছিলেন। এর চার বছর পর তিনি বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

শিক্ষাজীবনে আর্মস্ট্রং প্রথমে পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তিতে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়াশুনা করেন। কোরীয় যুদ্ধের পর তিনি ড্রাইডেন ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষামূলক বিমান চালক হিসেবে যোগ দেন।

নয়শ’র বেশিবার পরীক্ষামূলক বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল তার। জীবনে দুবার  মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৬৬ সালে জেমিনি-৮ নভোযানের চালক হিসেবে প্রথম মহাকাশ যাত্রা শুরু। এই অভিযানে নীলের সঙ্গী ছিলেন ডেভিড স্কট। তারা দুজন মিলে প্রথম মহাকাশে দুটি ভিন্ন নভোযানকে একত্র করেন। 

নীলের দ্বিতীয় অভিযানটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২০  জুলাই। অ্যাপোলো-১১ এর মিশন কমান্ডার হিসেবে সঙ্গি হিসেবে ছিলেন এডউইন অলড্রিন। চাঁদে অবতরণের পর সেখানে অবস্থান করেন ২ ঘণ্টা ৩১ মিনিট। সে সময় মূল নভোযানে অবস্থান করেন মাইকেল কলিন্স।

প্রথম মানব হিসেবে অবতরণের সময় আর্মস্ট্রং এর মন্তব্য ছিল, ‘এটি একজন মানুষের জন্য ক্ষুদ্র পদক্ষেপ হলেও মানবজাতির জন্য এক বিশাল অগ্রযাত্রা’।

অ্যাপোলো-১১ এর অভিযানই নীল আর্মস্ট্রং এর শেষ অভিযান ছিল। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটির প্রকৌশল অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন ১৯৭৯ পর্যন্ত।

ক্যান্সারে ভুগে  ৮২ বছর বয়সে ২০১২ সালের ২৫ অগাস্ট মারা যান এই কিংবদন্তী। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com