বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল তা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার এক গির্জায় দিনটি প্রথম পালন করা হয়। ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই এটি করা হয়।
শোনা যায়, ওয়াশিংটনের সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক মহিলার মাথায় বাবা দিবসের ধারণাটা আসে।
তবে তিনি ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। তিনি তার বাবাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই ১৯১০ সালে বাবা দিবস পালন করেন।
আসলে মা দিবস বেশ আড়ম্বরে পালন করা হলেও বাবা দিবসের বিষয়টি অনেকের কাছে বেশ হাস্যকর ছিল।
ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়। ১৯১৩ সালে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয় আমেরিকান পার্লামেন্টে।
১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।
বাবা আর সন্তানের সম্পর্ককে কোনো দিবস দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। তারপরও একটি দিনে বিশেষভাবে যদি বাবাকে সম্মান, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়, ক্ষতি কী তাতে?
বাবারা সচরাচর নিজের কষ্টকে সন্তানের কাছে তুলে ধরেন না। রোদ, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজ করে যান সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য। শুধু মা-ই নন বাবাও সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন সন্তানের মুখে হাসি দেখতে।
মা'র তুলনায় বাবার সঙ্গে মানসিক দূরত্বের কারণে বাবাকে ভালোবাসি কথাটা বলতে আমরা অনেকেই লজ্জা পাই। অনেকেরই হয়তো ইচ্ছে করে বাবাকে একটু জড়িয়ে ধরে বলতে, বাবা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু হয়ে ওঠে না। আজ একবার চেষ্টা করে দেখা যাক না, বাবাকে ভালোবাসার কথাটা বলতে পারি কিনা।