এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার টোপাজ সোলার ফার্ম। এটি পাঁচশ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।
কামুঠির এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করতে সময় লেগেছে আট মাস। এটি প্রত্যেকদিন রোবোটিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিষ্কার করা হয়। মজার ব্যাপার হলো এটিও তার নিজস্ব সৌরকোষের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে চলে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ প্রকল্প হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেড় লক্ষ ঘরের জন্য পর্যাপ্ত। প্রকল্পটিতে ব্যবহার করা হয়েছে পঁচিশ লক্ষ আলাদা আলাদা সোলার প্যানেল। এটি নির্মাণে ৬৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ সাড়ে চার হাজার কোটি রুপি। এট নির্মাণ করেছে ভারতের আদানি গ্রুপ।
আলজাজিরা জানায়, ভারত আশা করছে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়ে আগামী বছরেই তারা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় বৃহৎ সোলার মার্কেট হয়ে উঠবে। ২০২২ সালের মধ্যেই ছয় কোটি বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে দেশটির।
ব্রিজ টু ইন্ডিয়া নামের এক গবেষণার বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, এ প্রকল্প নির্মাণের ফলে ভারতের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ গিগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশেরই এ ক্ষমতা রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ রক্ষায় সৌর বিদ্যুতের চাহিতা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চাহিদা মিটিয়ে ভারত বায়ু দূষণও কমাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।