জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০০১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।
এর আগে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ‘আফ্রিকান শরণার্থী দিবস’ নামে একটি দিবস পালিত হতো। পরবর্তীতে জাতিসংঘের উদ্যোগে দিবসটি বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে বিশ্বের সব দেশে পালিত হচ্ছে।
বর্তমানে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলোতে অব্যাহত রয়েছে সংঘাত-গৃহযুদ্ধ। এতে লাখ লাখ মানুষকে ত্যাগ করতে হচ্ছে মাতৃভূমি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়েছে, বিশাল সংখ্যার শরণার্থীর মধ্যে ৫৪% শরণার্থী সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সুদানের নাগরিক। এছাড়া এদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
শরণার্থীদের অধিকাংশই জীবন বাঁচাতে যেতে চান ভিনদেশে। শিশুদের নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাড়ি জমাতে চান উন্নত কোনো দেশে। এসব দেশে আশ্রয়ের খোঁজে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করছেন সমুদ্রপথ। ভয়ংকর এ পথে নৌকা ডুবে মারা যাচ্ছে নারী-শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ।
মে মাসের শেষ দিনেও ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে মারা গেছে প্রায় সাতশ শরণার্থী। এছাড়া গত বছর আয়লান কুর্দির নিথর দেহ জানান দিয়েছিল শরণার্থীদের করুণ অবস্থা। এরপরও চুপ করে আছে বিশ্ব মানবতা। থামছে না গৃহযুদ্ধ, কমছে না সহিংসতা।