সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে জাপানের সাত বছর বয়সী শিশু ইয়ামাতো তানুকার উপর বাবা মায়ের নির্যাতনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর ছুঁড়ে মারার অপরাধে ইয়ামাতোর বাবা তাকাউকি তানুকা ওকে উত্তর হোক্কাইডোর প্রত্যন্ত জঙ্গলে ফেলে আসেন। তবে কিছুক্ষণ পর ফিরিয়ে আনতে গেলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সন্তানকে খুঁজতে পুলিশের সহায়তা নেন তাকাউকি। ১৮০ সদস্যের একটি উদ্ধারদল কুকুর নিয়ে খুঁজতে লেগে যায়। তাদের অক্লান্ত চেষ্টায় সাত দিন পর তাকে জঙ্গলের একটি সেনা ছাউনিতে পাওয়া যায়।
লর্ড হোক্কাইডোর প্রত্যন্ত জঙ্গলটি ওক আর বার্চ গাছের নিবিড় জঙ্গল। জঙ্গলটি এতোই ঘন যে সেখানে হাঁটাচলা করা দুঃসাধ্য।
নিশানা জানা না থাকলে জঙ্গলের রাস্তা চিনে সেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন। এছাড়াও এই বনে রয়েছে প্রচুর ভাল্লুক। যা একটি শিশুর জন্য বেশ ভয়ঙ্কর।
উদ্ধারের পর শিশুটি জানায়, বাবা-মা চলে যাওয়ার পর ও একটি পাহাড়ি রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে সেনাছাউনিতে চলে যায়। কোথাও কোনো খাবার না থাকায় ও পানি খেয়ে ছয় দিন কাটিয়েছে।
উদ্ধার করার পর তাকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই হাসপাতালের সামনের এক সংবাদ সম্মেলনে তাকাউকি তার আচরণের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন।
চিকিৎসকরা বলছেন ওরকম গভীর অরণ্যে একা পুরো ছয়দিন অভুক্ত কাটিয়ে প্রায় অক্ষত শরীরে একটা শিশুর জন্য ফিরে আসা 'বিস্ময়কর' একটা ঘটনা।