নেত্রকোণার রোয়াইলবাড়ি দুর্গ খননে সুলতানি আমলের নানা নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি-আমতলা ইউনিয়নে বেতাই নদীর তীরে এক সময় সুলতানি আমলের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল এই রোয়াইলবাড়ি দুর্গ। উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দুর্গটি কালের প্রবাহে হারিয়ে যায় মাটির নিচে।
১৯৯৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সেখানে খনন কাজের মধ্য দিয়ে দুর্গটি আবিষ্কার করে। ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষায় প্রায় ৫০ একর জায়গা পুরাকীর্তি এলাকা ঘোষণা করা হয়।
ধাপে ধাপে সেখানে খনন কাজ চালানো হলেও তা শেষ করেনি অধিদপ্তর। খননে সন্ধান মিলে সুলতানি সভ্যতার কারুকার্য সংবলিত ইট দিয়ে গড়া একটি বারো দুয়ারি মসজিদের এবং এর আশপাশের বিভিন্ন প্রাসাদের চিহ্ন, একটি সুরঙ্গপথ, কবরস্থান, প্রাচীন ইটের ভংগ্নাংশ, মৃৎপাত্র, মূর্তি ও মূল্যবান কিছু পুরাকীর্তি।
দুর্গ এলাকাটি দেখতে প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকরা এখানে আসেন। কিন্তু আধুনিকায়ন না করায় এই এলাকায় এসে পর্যটকরা পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। দুর্গ এলাকায় আরো খননকাজ চালানোসহ ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
উন্নয়ন করার মধ্য দিয়ে আধুনিক পর্যটন স্পট গড়ার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাজীব হোসাইন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: নেত্রকোণা।