কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক 'ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক' নামেও পরিচিত।
১৯৯৯ সালে মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এটি প্রতিষ্ঠা করে।
৬০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই পার্ক। বিশাল এ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সাফারি পার্কটিতে আছে নানা ধরনের গাছ।
কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এই পার্কের অবস্থান। পার্কটিতে রয়েছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, বানর, হাতি, জলহস্তী, অজগরসহ নানা পশু।
এছাড়াও পাখিদের মধ্যে রয়েছে শকুন, চিল, ময়ূর, শঙ্খচিল, মদনটাক ইত্যাদি। পার্কটির মাঝখানে রয়েছে বিশাল জলাশয়। যেটি এই পার্কের সৌন্দর্যকে আরও দ্বিগুণ করে তুলেছে। এসবের পরেও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, আগের তুলনায় এখানে অনেক পশুপাখির পরিমাণ কমে গিয়েছে।
ছুটির দিনে বিভিন্ন স্কুল থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে এই পার্কে শিক্ষা সফরে আসে।
বাবার সাথে ঘুরতে আসা মুশফিকা নামে এক দর্শনার্থী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "এই প্রথমবার আমি এখানে এসেছি। আমার খুব ভালো লাগছে।"।
পশ্চিম কলা জান সাহা নামে এক প্রধান শিক্ষক 'হ্যালো'কে বলেন, "আমরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছি। তারা অনেক কিছু দেখতে পারছে।"
বিপ্লব বড়ুয়া নামে একজন দর্শনার্থী অনেকটা অভিযোগের স্বরে বলেন, "আগের চেয়ে বন্যপ্রাণী কমে গিয়েছে এখানে। আমার বাচ্চাদের কুমির দেখার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু কুমির দেখতে পারিনি। তবে অন্যান্য প্রাণী দেখেছে। তাদের খুব ভালো লেগেছে।"
এই পার্কটিতে প্রতিবছর প্রায় এক লক্ষ পর্যটক আসেন বলে জানা যায়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বান্দরবান।