চার্লির নীলকুঠি

চার্লি তার কুঠিবাড়ি থেকেই নীল চাষ এবং ‘সাহেবের হাট’ পরিচালনা করতেন।
চার্লির নীলকুঠি

খুলনায় ‘চার্লির নীলকুঠি’ নামে পরিচিত স্থাপনাটিকে বলা হয় জেলার প্রথম দালান বাড়ি।

পুরাতন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বলা হয়, বাড়িটি ২২৩ বছরেরও বেশি পুরাতন।

জানা যায়, ১৭৯৫ সালে যশোরের রূপদিয়ায় প্রথম নীলের কারখানা স্থাপন করেন ইংরেজ নীলকর বন্ড। এই কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ইংরেজরা এই অঞ্চলে তাদের অত্যাচারপর্ব শুরু করে।

১৮০১ সালে খুলনার দৌলতপুরে নীলকর এন্ডারসন প্রথম নীলকুঠি স্থাপন করেন। এরপর শহরের কেন্দ্রস্থল রেলওয়ে হাসপাতাল রোডে নীলকুঠি স্থাপন করা হয়। এই কুঠিটি স্থাপন করেন নীলকর চার্লস।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শহর হিসেবে খ্যাত হওয়ার আগে খুলনার পরিচিতি ছিল ‘চার্লিরহাট’ বা ‘সাহেবের হাট’কে ঘিরে। কারণ নীলকুঠির পূর্বপাশে ভৈরব নদের তীরে একটি বাজার গড়ে ওঠে। বর্তমানে ‘চার্লিগঞ্জ বা ‘সাহেবেরহাট’ এখন ‘বড়বাজার’ হিসেবেই পরিচিত।

চার্লি তার কুঠিবাড়ি থেকেই নীল চাষ এবং ‘সাহেবের হাট’ পরিচালনা করতেন। অন্যান্য নীলকুঠির মতো চার্লির এই পাকা দালান বাড়িটি ছিল নীলকরদের কেন্দ্র।

ইতিহাসপ্রেমীদের অনেকেই দেখতে আসেন প্রাচীন এই বাড়িটি।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: খুলনা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com