নেলসন ম্যান্ডেলা ‘মাদিবা’ নামেও পরিচিত। দেশটিতে তার গোত্রের নাম অনুসারে ডাকা হয় মাদিবা।
Published : 05 Dec 2024, 05:39 PM
নেলসন ম্যান্ডেলা, যিনি ছিলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক অবিসংবাদিত নেতা। তার জীবন শান্তি, ন্যায় এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উদাহরণ হয়ে আছে। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, সারা বিশ্বেই মুক্তি আর ন্যায়ের প্রতীক তিনি।
নেলসন ম্যান্ডেলা ‘মাদিবা’ নামেও পরিচিত। দেশটিতে তার গোত্রের নাম অনুসারে ডাকা হয় মাদিবা।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার ছোট একটি গ্রামে জন্ম নেন এই কিংবদন্তি। তার পুরো নাম নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা। রোলিহ্লাহ্লার অর্থ গাছের ডাল ভাঙে যে, এক কথায় দুষ্টু ছেলে।
ম্যান্ডেলা পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে। আর নয় বছর বয়সেই তার বাবাকে হারান। পরে জোঙ্গিন্তাবা নামের সেখানকার এক শাসকের পরিচর্যায় বড় হন তিনি।
ম্যান্ডেলা ১৯৪১ সালে ২৩ বছর বয়সে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে যান জোহান্সবার্গে। এর দু’বছর পর আফ্রিকানার উইস্টওয়াটারান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি নেন। সেখানে তিনি নানা বর্ণের ও গোত্রের মানুষের সঙ্গে মেশেন। আর এখান থেকেই বর্ণবাদ, বৈষম্যের মতো বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন।
বর্ণবাদী সরকারের বিরোধিতা করার জন্য ম্যান্ডেলাকে কারাগারে বন্দী থাকতে হয় ২৭ বছর। এই দীর্ঘ কারাজীবনেও তিনি তার লক্ষ্য থেকে সরে যাননি। বরং কারাগার থেকেই তিনি বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
১৯৯৩ সালে ম্যান্ডেলা নোবেল শান্তি পুরস্কার পান এবং ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার পুরো জীবনটাই ছিল মানুষের জন্য। তার জীবন থেকে বিশ্ব আজও শিখতে পারছে শান্তি আর মানবতার কথা।
২০১৩ সালের ৮ জুন ম্যান্ডেলার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই বছর ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ নিজের বাড়িতে ৯৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।