১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এই সনামধন্য লেখক চব্বিশপরগনার জেলার মুরারিপুরে মামার বাড়িতে জন্ম নেন। পৈতৃক নিবাস এই জেলারই বারাকপুরে।
তার লেখা পড়তে পড়তে কখনও বা পাঠক হারিয়ে যাবে অপু আর দুর্গার সাথে নিজের ছেলেবেলায়। কখনও সবুজ মাঠে, গ্রামের আমতলায় বা বনবাদাড়ে।
বিভূতিভূষণের শৈশব ও কৈশোর কাটে দারিদ্র্যের ভেতর। পরে শিক্ষকতা ও লেখালেখি চালিয়ে যান পাশাপাশি।
তিনি মানুষকে দেখেছেন গভীর মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে। তার লেখায় আমি নিজেকে খুঁজে পাই তাই তিনি আমার অন্যতম প্রিয় লেখক।
পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তার কালজয়ী উপন্যাস। পথের পাঁচালীর ছোট্ট সুন্দর অপু অপরাজিত উপন্যাসে হয়ে উঠেছেন পরিণত যুবকে।
দৃষ্টি প্রদীপ, আরণ্যক, ইছামতি, দেবযান, আম আঁটির ভেঁপু, মৌরিফুল, যাত্রাবদল, মেঘমল্লার, চাঁদের পাহাড় আমার কাছে অতুলনীয় রচনা বলে মনে হয়।
পথের পাঁচালী উপন্যাসের শেষে অপু যখন তার নিজের গ্রামে ফিরে যেতে চায় তখন বিভূতিভূষণের লেখা যেন জীবন্ত হয়ে যায়। সোনাডাঙ্গা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতি পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে অপু যেন এগিয়ে চলে আমারই চোখের সামনে দিয়ে।
পড়তে পড়তে অজান্তেই আমার চোখ বেয়ে নেমে আসে জলের ধারা।
১৯৫০ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।