হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিম আরও বলেন, সুযোগের দিক থেকেও মেয়েরা পিছিয়ে আছে।
হ্যালো: কন্যা শিশুর জন্য আমাদের সমাজ কতটুকু অনুকূল পরিবেশ দিতে পেরেছে আর কী কী দরকার বলে আপনি মনে করেন?
বিদ্যা সিনহা মিম: আগের চেয়ে এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো। কিন্তু তারপরও এখনো কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে কন্যা শিশুরা অনেক অবহেলিত বা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। এই দিকটা তাদের বোঝাতে হবে। আমার জায়গা থেকে আমি ব্যাখ্যা করব তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এটা আমি অবশ্যই করব।
হ্যালো: শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইন আছে, নানা সংগঠন-সংস্থা কাজও করছে। কিন্তু প্রায়ই খবরে দেখি নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আপনার মতামত জানতে চাই, এসব সহিংসতা বন্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে?
বিদ্যা সিনহা মিম: আমি যেহেতু মাত্র যোগদান করেছি। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এটা ইউনিসেফ ভালোভাবে বলতে পারবে।
হ্যালো: আপনার কাছে প্রশ্ন, শিশুদের কোন সমস্যাটি আপনাকে বেশি ভাবায়?
বিদ্যা সিনহা মিম: শিশুদের অনেক কিছুই আমাকে ভাবায়। কারণ, এখনো এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে শিশুদের যে টিকা দিতে হয় এটা এখনো জানে না। তারপর তাদের পড়াশোনা, তাদের স্বাস্থ্যসহ এ ধরনের আরো অনেক সমস্যা আছে। বিশেষ করে মেয়ে শিশু, যারা নারী তারা আরো বেশি বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে। তারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আমরা যেভাবে কাজ করছি সেই সুযোগটা তারা পাচ্ছে না। তো, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করব।
হ্যালো: আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা সহশিক্ষা হিসেবে সাংবাদিকতা করছে। শিশু সাংবাদিকতা বিষয়টিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
বিদ্যা সিনহা মিম: প্রথমত তোমরা শিশুরা আজকে আমাকে প্রশ্ন করছ, এই বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এটা আমি কখনো চিন্তা করতে পারিনি শিশুরা প্রশ্ন করছে। এখন তো দেখা যাচ্ছে যে শিশুরাই এগিয়ে। শিশুদের মধ্যে প্রচণ্ড প্রতিভা আছে। দেখা যায় যে, বিভিন্ন রকম নির্যাতনের শিকার হলেও সেটা তারা প্রকাশ করতে পারে না। আমাদের কাজ সেটাই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষদেরকে বোঝানো। নারী শিশুরা পিছিয়ে আছে তাদেরকে বোঝানো, ছেলে শিশুদের কেউ বোঝানো। শিশুরা একদম ছোট থাকতেই যদি আমরা বোঝাতে পারি তাহলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর হবে।
হ্যালো: ধন্যবাদ আমাদের সময় দেওয়ার জন্য।
বিদ্যা সিনহা মিম: তোমাদেরকেও ধন্যবাদ।