জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপের ফলে পৃথিবী জুড়ে অস্থিতিশীলভাবে ভূমির ক্ষতি ও অবনতি হচ্ছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির পরিমাণ পৃথিবীর মোট ভূখণ্ডের ৪০ শতাংশ।
তাছাড়া, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী জমি অবক্ষয়ের প্রভাবে নানাবিধ ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে। আর এই ক্ষতি হচ্ছে মূলত আধুনিক কৃষির নামে।
'গ্লোবাল ল্যান্ড এন্ড আউটলুক' নামে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান চাষাবাদ পদ্ধতিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। কমে যাচ্ছে মাটিতে থাকা কার্বন। নানা প্রজাতির প্রাণী এতে হুমকির মুখোমুখি।
ওই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বর্তমান খাদ্য ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ বন উজার হচ্ছে। ব্যবহার হচ্ছে ৭০ শতাংশ স্বাদু পানি। যদি এই ক্ষতি থামানো না যায় তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে আরো একশত ৬০ কোটি হেক্টর বা ষোল মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা প্রায় দক্ষিণ আমেরিকার আয়তনের সমান।
তবে সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা, গাছ লাগানো, প্রাকৃতিকভাবে বৃক্ষের পুনর্জন্মের পরিবেশ সৃষ্টি করা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া গেলে এ অবস্থার পরিবর্তন এবং উন্নয়নশীল দেশে ফসলের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যের দাম সীমিত করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।