এ উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। এই তিন শব্দের সম্মিলিত রূপ 'বৈসাবি'।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে জানা যায়, দেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটির ১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ বর্ষবরণ ও বিদায়ের এই উৎসবে যোগ দেয়। পাহাড়িদের জীবনে এটাই প্রধান সামাজিক উৎসব। ১৯৮৫ সাল থেকে সম্মিলিতভাবে ‘বৈসাবি’ নামে এ উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে।
বৈসাবির সূচনা হয় ফুল বিজুর মাধ্যমে। চাকমা রীতিতে এই ফুল ভাসানের নাম ‘ফুল বিজু’। আর ত্রিপুরারা বলে ‘হারি বৈসুক’। বয়ে যাওয়া জলে ফুল ভাসায় আদিবাসী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী এবং শিশুরা। বাহারি পোশাক পরে তারা বিজুফুল, মাধাবী লতা, অলকান্দ, জবা, নয়নতারাসহ বিচিত্র সব ফুল নদীতে ভাসায়।
পাহাড়ি জনপদের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যের প্রকাশ ঘটে এই বর্ষবরণের উৎসবে। ভিন্ন ভিন্ন নামে বর্ষবরণ উৎসব পালন করলেও উদযাপনের ধরন আর রীতি প্রায় একই রকম।
শুরুর দিনটায় তারা নিজ নিজ ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করে থাকে। শিশুরা ভোর বেলা ফুল সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে নিজেদের ঘর সাজায়। ঘরে ঘরে নানান পদের খাবারের আয়োজন থাকে।
দ্বিতীয় দিন সবাই সবার ঘরে যান। সবাই এদিন বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে রান্না করে ‘পাজন’। তৃতীয় দিন বিহারে ধর্মানুষ্ঠান থাকে। শেষ দিনে মারমা সম্প্রদায়ের বিশেষ আয়োজন হলো পানিখেলা। ত্রিপুরা সম্প্রদায় এদিন আয়োজন করে থাকে গড়াইয়া নৃত্য। এছাড়াও নানা আয়োজন থাকে।