সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয় জমজ শিশু লাবিবা-লামিসাকে। এর আগে ২০১৭ সালের অগাস্টে একই হাসপাতালে শিশু তোফা ও তহুরাকেও আলাদা করা হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, কুড়িগ্রামে এক মায়ের জোড়া মেয়ের জন্ম হয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৬ লাখ জমজ শিশু জন্ম নেয়। বিশ্বের ১৬৫ টি দেশের ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে জমজ সন্তান প্রসবের তথ্য সংগ্রহ করে তা ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের তথ্যের সাথে তুলনা করে এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'হিউম্যান রিপ্রোডাকশন' নামক সায়েন্টিফিক জার্নাল।
গবেষক দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান ম্যনদের মতে, "বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলক ও বাস্তব সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে জমজের হার এখন বেশি এবং সম্ভবত এটা সর্ব কালের মধ্যেই সর্বোচ্চ।"
বিশ্বে জমজ শিশু জন্মের শতকরা ৮০ ভাগই আফ্রিকা এবং এশিয়াতে। এশিয়া মহাদেশে জমজ শিশু জন্মের হার পূর্বের চেয়ে শতকরা ৩২ ভাগ এবং উত্তর আমেরিকায় শতকরা ৭১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অধ্যাপক কিশোয়ার সুলতানা বলেন, "সাধারণত একজন নারী তখনই গর্ভধারণ করেন যখন তার ওভাম বা ডিম্বাণু কোনো একটি শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়। যদি কোনো স্পার্ম বা শুক্রাণু একটি ডিম্বাণুকে গ্রহণ করতে পারে তাহলে গর্ভধারণ হয়। কিন্তু যদি একের অধিক ডিম্বাণু বের হয় এবং একের অধিক শুক্রাণু তাদেরকে গ্রহণ করে তাহলে একাধিক শিশু এক সাথে বেড়ে উঠে এবং এর কারণেই জমজ শিশু জন্মায়।"