শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। শহর তো নয়ই এমনকি গ্রামেও তেমন একটা শোনা যায় না জন্মের সময় শিশু বা মায়ের প্রাণহানী হয়েছে।
নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণ, প্রসবজনিত জটিলতা ইত্যাদি।
চিকিৎসকরা প্রায়ই বলে থাকেন, কিশোরী মায়েদের সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।
হ্যালোতে প্রকাশিত এক সাময়িকীতে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী সন্তান জন্মদান ও সন্তান ধারণের জন্য নিরাপদ ও সুবধিাজনক বয়স সীমা সাধারণত ২০-৩০ বছর ধরা হয়ে থাকে। আর আমাদের দেশে কন্যা শিশু বয়ঃসন্ধি তথা কৈশোর পার করার আগেই অভিভাবকেরা বিয়ের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ তারা এটা জানেন না যে বার্থ ক্যানেলের প্রধান অস্থি ও অস্থিসন্ধি যাকে বোন পেলভিস বলা হয় তা পরিপূর্ণতা লাভ করে ২০ বছর বয়সে।
সেই চিকিৎসক আরও বলেন, বাল্যবিয়ে কমিয়ে আনা খুব জরুরি। আমার দৃষ্টিতে এটা অনেকটা কমে এলেও মহামারি তা আবার বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে শিশু মৃত্যুহার বাড়বে বলেই মনে হয়। আমাদের অর্জনগুলো মহামারি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে কতটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটি খারাপ দিকে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: রংপুর।