একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে এসেছে এই গর্ব, এই স্বাধীনতা।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। তবুও কিছুতেই বাঙালি হার মানেনি। স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে থামাতে পারেনি কোনো শক্তিই।
২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য জাতির তুলনায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস অনেকটাই আলাদা।
বাঙালি নিজের জীবনের পরোয়া না করে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু যখন ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তখন দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ কোনো কিছু না ভেবে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করে বহুসংখ্যক বাঙালিকে। হামলা চালায় দেশের বড় বড় শহরগুলোতে। পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহায় পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরাও।
২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন সারাদেশে সেটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
বাঙালি তার চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের হাত থেকে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। বাঙালি এখন গর্বের সাথে বলতে পারে, আমি বাঙালি, বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার মাতৃভাষা ভাষা, শেখ মুজিব এই জাতির পিতা, আমারা স্বাধীন জাতি। এর থেকে গর্বের কথা আর কী হতে পারে।
আজ বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত।