তীব্র কুয়াশায় নদী যেন দেখতেই পাচ্ছিলাম না আমরা। হাঁটতে হাঁটতে কাছাকাছি আসতেই স্পষ্ট হয়ে উঠল নদীর দৃশ্য। শীতের সকাল বা রোদেলা দুপুর; না হয় ক্লান্ত বিকেলে সব সময় উপভোগ করা যায় সাঙ্গুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সাঙ্গু নদী বা শঙ্খ নদী বাংলাদেশের পূর্ব পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দারবান জেলায় অবস্থিত। কর্ণফুলীর পর চট্টগ্রাম বিভাগের এটিই দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। বান্দরবান জেলার প্রধানতম নদী সাঙ্গু। বান্দরবান জেলা শহর এ নদীর তীরেই অবস্থিত।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই এই নদীর জন্ম। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর উৎপত্তি। পাহাড় ঘেঁষে বান্দরবান দিয়ে সোজা বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে এই নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার।
বান্দরবান থেকে বালাঘাটা যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদীর উপরে রয়েছে সাঙ্গু ব্রিজ। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে যতদূর চোখ যায় দেখা যায় সাঙ্গু নদীর সৌন্দর্য।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে সাঙ্গুর রূপও বদলে যায়। ধারণ করে। বিশেষ করে শীতকালে নদীর পাড়ে অতিথি পাখি নদীকে নতুন রূপ দেয়।
এ জেলার মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এ নদী। পাহাড়ি জনপদগুলোতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।
প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। সাঙ্গু নদী ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো নদীর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিকালের দিকে আমরা বাড়ি ফিরে যাই, কিন্তু চোখে মনে লেগে থাকে সাঙ্গুর সৌন্দর্য।