বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে (ভিডিওসহ)

রংপুর শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র।
বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রে (ভিডিওসহ)

বেগম রোকেয়ার বাড়ি ও তার স্মৃতিকেন্দ্র পাশাপাশি অবস্থিত। স্মৃতি রক্ষার্থেই বেগম রোকেয়ার বসতভিটার সাথেই স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। 

তার প্রাচীন বসতভিটায় এখন আর তেমন কিছুই নেই। রয়েছে ভাঙা দেয়াল, ইটের টুকরো আর বিভিন্ন ভবনের ভিত্তি। 

পাশেই রয়েছে গ্রামীণ নারীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন কারুপণ্য বিক্রির দোকান। এখানে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্য ছাড়াও আধুনিক বিভিন্ন কারুপণ্য স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়।

২০০১ সালের পহেলা জুলাই নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার আদর্শ, কর্ম ও জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিতকরণ এবং তার অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখানে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে।

স্মৃতি কেন্দ্রটিতে রয়েছে ২৬০ আসন বিশিষ্ট একটি আধুনিক মিলনায়তন, ১০০ আসন বিশিষ্ট একটি সেমিনার কক্ষ, ১০ হাজার পুস্তক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পাঠাগার, চার হাজার বিভিন্ন বইপত্র-পত্রিকা, ২৫টি সেলাই মেশিনসহ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আরও আছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস, কেন্দ্র চত্বরে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ও উপ-পরিচালকসহ কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামের জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নাম জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের ও মায়ের নাম রাহাতুন্নেসা চৌধুরানী।

বেগম রোকেয়ার বাবা ছিলেন পায়রাবন্দের জমিদারীর সর্বশেষ জমিদার উত্তরাধিকারী। তার মা ছিলেন বলিয়াদী জমিদার বংশের কন্যা। ১৮৯৮ সালে রোকেয়ার বিয়ে হয় বিহারের ভাগলপুর নিবাসী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে।

প্রতিদিন দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা এই স্মৃতিকেন্দ্রে ভ্রমণ করে যান। 

এই স্মৃতি কেন্দ্র ভ্রমণকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে মোবারক হ্যালোকে জানান, তিনি এবং তার সহকর্মীরা অবসরে এখানে এসেছেন। তিনি এ সময় বাঙালি নারীদের অগ্রগতিতে বেগম রোকেয়ার অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

কথা হয় বেগম রোকেয়ার বসতভিটার সাথে স্থাপিত পাবলিক পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও রক্ষণাবেক্ষণকারী মো. রফিকুল ইসলাম দুলালের সাথে।

তিনি হ্যালোকে বলেন, "১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাঠাগারটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি দর্শনার্থীদের জন্য বেগম রোকেয়ার কাব্যগ্রন্থ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকদের বই পড়ার সুযোগ দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে তিনি সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে এই পাঠাগারটি যেন আরো সমৃদ্ধ হতে পারে।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com