হাওয়াখানায় একদিন (ভিডিওসহ)
কাকিনা জমিদার বাড়ির অতীত স্মৃতি বুকে নিয়ে এখন দাঁড়িয়ে আছে ‘হাওয়া খানা।’
ষোল শতকের শেষ দিকে ১৬৮৭ সালে কাকিনায় এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় জমিদার ছিলেন রাম নারায়ণ চৌধুরী।
রাম নারায়ণের জমিদারির শুরুর দিকেই চার তলা বিশিষ্ট এই হাওয়াখানাটি তৈরি করা হয়। ইট, সুরকি ও রড দিয়ে হাওয়াখানা নির্মিত হয়েছিল।
এর নির্মাণশৈলী ছিল চমৎকার ও অনন্য। জমিদার হাওয়াখানায় হাওয়া খাওয়ার জন্য আসতেন বলে প্রচলিত আছে। হাওয়াখানাটির দেয়ালের কারুকার্য নষ্ট হয়ে গেলেও আভিজত্যের ছোঁয়া এখনও স্পষ্ট।
স্থানীয়রা হাওয়াখানাটিকে ‘ঘুরানি বাড়ি’ বলে। লোকমুখে শোনা যায় এর ভেতরের প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে ঘুরে ঘুরে উপরে উঠতে হতো বলে একে ‘ঘুরানি বাড়ি’ বলা হয়।
পর্যটকরা এখন ‘ঘুরানি বাড়ি’কেই জমিদার বাড়ি হিসেবে ধরে নেয়।
আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে অনেকে ঘুরতে আসেন।
যামিনী কান্ত রায় নামের একজন পর্যটক বলেন, বাড়িটির নির্মাণশৈলী দেখে তিনি মুগ্ধ। তবে এখন কোনো রাজমিস্ত্রি চাইলেও এই কাজ করতে পারবে না।
শুভাংশু বর্মা নামের স্থানীয় এক তরুণ বলেন, হাওয়াখানাকেই জমিদারবাড়ি মনে করেন তারা। এই জমিদার বাড়ি তো আগে অনেক বড় ছিল এখন অনেক ছোট হয়ে গেছে। অন্তত হাওয়াখানা যাতে সংরক্ষণ করা হয়।